টেকনোলজি

ডিপ্লোমা ইন আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং কেন পড়বেন?

আর্কিটেকচারের বাংলা প্রতিশব্দ স্থাপত্যবিদ্যা। সাধারণত স্থাপত্য বলতে আমরা নির্মাণ কৌশলকে বুঝি। আধুনিক যুগের শিক্ষাব্যবস্থায় কোথাও যদি শিল্প ও বিজ্ঞানের সমন্বয় ঘটে থাকে, তা হচ্ছে স্থাপত্যবিদ্যা বা আর্কিটেকচার। ডিপ্লোমা ইন আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং যা বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং নামেও পরিচিত। মানুষ এখন শুধুই একটি বাসস্থানের স্থান পেলেই খুশি নয়, সেই সাথে তার চাহিদা থাকে একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীর। সেই চাহিদা পূরণ শুধুমাত্র একজন দক্ষ আর্কিটেক্ট দ্বারাই সম্ভব। তাই এই চাহিদা পূরণে আর্কিটেক্টরা বড় ভূমিকা পালন করবে।

আর্কিটেকচার টেকনোলজি কি?

ডিপ্লোমা ইন আর্কিটেকচার টেকনোলজি এমন একটি কোর্স যেখানে স্থাপত্য ও গবেষনাকে একটি কোর্সে উপস্থাপন করে শিক্ষার্থীদের থিওরি এবং প্র্যাকটিক্যাল উভয় দিকে জ্ঞান দেয়া হয়। যার মূল বিষয় বস্তু হচ্ছে কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন, কাঠামোগত নকশা এবং মডেল মেকিং। একজন আর্কিটেক্ট কোন বিল্ডিং বা স্থাপনার বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় নকশাই করে থাকেন। এক্ষেত্রে তাকে কারিগরি জ্ঞানের পাশাপাশি সৃজনশীলতা ও উন্নত রুচির পরিচয় ও দিতে হয়।

আরও পড়ুন: কোন টেকনোলজিতে পড়বেন?

আরও পড়ুন: ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কেন পড়বেন?

আরও পড়ুন: ডিপ্লোমা-ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কেন পড়বেন?

একজন আর্কিটেক্ট কোথায় কাজ করেন?

সরকারি প্রজেক্টে, যেখানে স্থাপনার (যেমন: সরকারি অফিস, সেতু) কাজ রয়েছে।বেসরকারি প্রজেক্টে, যেখানে স্থাপনার কাজ রয়েছে। ওয়াসা, ডিএসএ, পিডিবি, বন মন্ত্রণালয়, হাউজিং কোম্পানি, রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। এছাড়াবিভিন্ন আর্কিটেকচার ও কন্সট্রাকশন ফার্ম কাজ করে করেন।

সরকারি বড় প্রজেক্টগুলোতে আর্কিটেক্টদের বেশিরভাগ সময় দেখা যায়। মূলত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কাজ করেন তারা। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আমাদের দেশে এখন আর্কিটেকচারাল ফার্মের সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলছে। অধিকাংশ বড় বিল্ডিংয়ের নকশার কাজের দায়িত্ব পায় এসব ফার্ম। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ করার পাশাপাশি বহু আর্কিটেক্ট কনসালট্যান্ট হিসাবেও কাজ করে থাকেন।

DIPLOMA NEWS এর Campus Ambassador হতে ক্লিক করুন

চাকরির ক্ষেত্র:

সরকারি বেসরকারি পলিটেকনিকগুলোতে ইন্সট্রাক্টর হিসেবে।

পরিকল্পনা ও উন্নয়ন জরিপকারী হিসেবে।

থিয়েটার / টেলিভিশন / ফিল্ম-এ প্রোডাকশন ম্যানেজার হিসেবে।

বিল্ডিং সার্ভেয়ার হিসেবে।

রেসিডেনশিয়াল সার্ভেয়ার হিসেবে।

এছাড়া ডিজাইনে ভালো দক্ষতা থাকলে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। একজন আর্কিটেক্ট শুধুমাত্র চাকরিতেই সীমাবদ্ধ থাকে না। নিজস্ব ফার্মের মাধ্যমে একজন আর্কিটেক্টের রয়েছে স্বাধীনভাবে নিজের প্রতিভা এবং সামর্থ্য অনুসারে দক্ষতা কাজে লাগানোর সু্যোগ। যদি আপনি আপনার প্রতিভা এবং রুচিশীলতাকে সমন্বয় করে আপনার ভবিষ্যতকে সাজাতে চান তবে আর্কিটেকচার টেকনোলজি হতে পারে আপনার অন্যতম পছন্দ।

উচ্চ শিক্ষার সুযোগ: ডিপ্লোমা ইন আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং শেষে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করার সুযোগ রয়েছে। সরকারিভাবে ডুয়েটে আর্কিটেকচার ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিএসসি করার সুযোগ রয়েছে।

এছাড়া অনেক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি করার সুযোগ রয়েছে।

আপনাদের ক্যাম্পাসের তথ্য ও খবর প্রকাশ করতে এই ঠিকনায় মেইল করুন-newsdiploma@gmail.com

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button