টিপস

মুলার স্বাস্থ্য উপকারিতা

মুলার নাম শুনলে অনেকেই নাক কুঁচকে ফেলেন। মূলত গন্ধের কারণেই এই সবজি কারো কারো পছন্দ নয়। তবে মুলার পাতা শাক হিসেবে খেলেও নানান ধরনের উপকার মিলে। জন্ডিসের জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে বিশেষভাবে বিবেচিত হয় মুলা। মুলার পাতা এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর। শীতের সবজি মুলা পাওয়া যায় নানা রঙে। প্রচলিত রংগুলোর মধ্যে সাদা, লাল, গোলাপি ও হলুদ মুলা পাওয়া যায়। একেকটিতে আবার একেক রকম পুষ্টিগুণ।

হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: মুলাতে উপস্থিত ‘অ্যান্থোসায়ানিন’ নামক একটি উপাদান, শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। তাই কোনো ধরনের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: মুলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম, যা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখে। যাদের এই রোগ আছে তারা রোজের ডায়েটে মুলাকে জায়গা করে নিতে পারেন।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি: নিয়মিত মুলার রস খাওয়া শুরু করলে শরীরে ভিটামিন সি, জিঙ্ক এবং ফসফরাসের মাত্রা অনেকটা বৃদ্ধি পায়। এতে ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। তেমনি একাধিক ত্বকের রোগও ধারে কাছে যেতে পারে না।

ইমিউনিটির উন্নতি: মুলা এবং তার পাতায় উপস্থিত আয়রন এবং ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। সেই সঙ্গে শারীরিক ক্লান্তিও দূর করে।

কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমায়: মুলার রসে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই কনস্টিপেশনের প্রকোপ কমতে শুরু করে।

ভিটামিনের ঘাটতি দূর: নিয়মিত মুলার পাতা খাওয়া শুরু করলে দেহের ভিতরে নানাবিধ ভিটামিনের পরিমাণ যেমন বাড়তে থাকে, তেমনি আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতিও দূর হয়।

ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যায়: ব্লাডার, কিডনি, প্রস্টেট এবং ডাইজেস্টিভ ট্র্যাকে জমে থাকা ক্ষতিকর উপাদানদের শরীর থেকে বের করে। এতে শরীরের এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোর কর্মক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে মুলা। শুধু তাই নয়, শরীরের কোণায় কোণায় জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের ক্ষতি করার আগে তাদের কডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেওয়ার কাজটাও করে থাকে মুলার রস। শরীর যত টক্সিক মুক্ত থাকবে, তত স্কিনের ঔজ্জ্বলতা বাড়বে।

শরীরে ভিতরে প্রদাহের মাত্রা কমে: প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকায় প্রতিদিন যদি মুলার রস খাওয়া যায়, তাহলে দেহের ভিতরে চোট-আঘাতের কারণে হওয়া জ্বালা-যন্ত্রণা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফ্লেমেশন এবং কিডনির প্রদাহও কমে।

অ্যাস্থেমার চিকিৎসায় কাজে: শ্বাস কষ্ট, সেই সঙ্গে হাঁচি-কাশিতে একেবারে জর্জরিত হয়ে পরেছেন? ফিকার নট! তাহলে মুলার রস খাওয়া শুরু করুন। মুলার রস, লাং-এ জমতে থাকা মিউকাসের দেওয়ালকে ভেঙে দেয়। এতে অল্প দিনেই অ্যাস্থেমার প্রকোপ কমতে শুরু করে। বমি ভাব, গলার ব্যথা এবং মাথা ঘোরার মতো সমস্যা কমাতেও সহায়তা করে।

ক্যানসারের মতো মারণ রোগ: মুলার রসে উপস্থিত অ্যান্থোসায়ানিন এবং ভিটামিন সি শরীরের ভিতরে ক্যানসার সেলেরে জন্ম এবং বৃদ্ধির আটকায়। বিশেষত কোলন, ইন্টেস্টিনাল,স্টমাক এবং কিডনি ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমাতে পারে এ রস।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button