বর্তমান সময়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েই কিনতে হয় এই যন্ত্রটি। প্রতি মাসেই বিলের বাবদ গুণতে হয় একগাদা টাকা। এখানেই শেষ নয় একবার নষ্ট হলেও আরও বেশি টাকা খরচের ধাক্কা। তাই এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ভালো রাখতে এসিও যত্ন নিতে হবে। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ বিলও কম আসবে।
জেনে নিন এসি দীর্ঘদিন ভালো রাখার উপায়-
এসির মোটর ঠিক রাখা : এসির তাপমাত্রা বারবার কমানো বা বাড়ানো হলে তা মোটরের উপর চাপ হয়। এতে খারাপ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে খারাপ হলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটতম কোনো এসি সেন্টারে বা সার্ভিস সেন্টারে ফোন করে দক্ষ লোককে দেখানোই ভালো।
থার্মোস্ট্যাট সেটিংস সঠিক রাখা: হঠাৎ করেই এসি কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তবে দক্ষ লোককে ডেকে এসির থার্মোস্ট্যাট সেটিংসয়ের সার্ভিসিং করে নিনি। এসির থার্মোস্ট্যাট এসি চালানো ও বন্ধ করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ঘরের উপযুক্ত তাপমাত্রা নির্ধারণ করতেও সহায়তা করে। তাই থার্মোস্ট্যাট ঠিক রাখতে ঘন ঘন তার সেটিংস চেঞ্জ করার পরিমাণ কমাতে হবে। ভালো রাখতে থার্মোস্ট্যাট স্বয়ংক্রিয় মোডে সেট করে রাখুন।
কম্প্রেসার ঠিক রাখা : কম্প্রেসার দিয়ে এসি ঘর ঠান্ডা হয়। বেশ কয়েকবার সার্ভিসিং করানোর পরেও অনেক সময় এসির কম্প্রেসার ঠিক থাকে না,তাই দক্ষ লোক দেখেই এসি সার্ভিসিং করানো উচিত।
ফিল্টারের যত্ন : বাংলাদেশ সাত থেকে আট মাস এসি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই অতিরিক্ত ব্যবহারে ফিল্টারে নোংরা জমে যায়। এতে ফিল্টার পরিষ্কার রাখতে কিছু সময় পর পর এসি সার্ভিসিং করানো উচিত।
এসি চলার সময় অন্য যন্ত্র নয় : এসি ব্যহারের সময় ইন্ডাকশন, গিজার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করবেন না। এতে বিদ্যুতের ওপর বেশি চাপ পড়তে পারে। এসি চলার সময় দরজা কম খুলবেন। সিলিং উঁচু হলে বা ঘরে ফাঁক-ফোকর থাকলে ঘর ঠান্ডা হতে বেশি সময় লাগে।
আপনাদের ক্যাম্পাসের তথ্য ও খবর প্রকাশ করতে মেইল করুন- newsdiploma@gmail.com