নোটিশ

পলিটেকনিকের বদলির নোটিশ, দেখে নিন নিয়ম

সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডিপ্লোমা ইন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের ২য় ও ৪র্থ পর্বে বদলির নোটিশ প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২০-২৯ আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের (বাকাশিবো) ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

দেখে নিন শিক্ষার্থী বদলির সাধারণ নির্দেশিকা-

১. আসন খালি এবং বদলির সাধারণ নির্দেশিকার শর্তাবলী হিসেবে বদলি করা হবে।

২. শিক্ষার্থী বদলির ক্ষেত্রে অবশ্যই টেকনোলজি, প্রবিধান ও শিফটের মিল থাকতে হবে। ১ম শিফটের শিক্ষার্থী ১ম শিফটে এবং ২য় শিফটের শিক্ষার্থী ২য় শিফটে বদলি হওয়ার সুযোগ পাবে। মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে বদলির সুযোগ পাবে। তবে সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেয়ে শিক্ষার্থীরা মহিলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে বদলির সুযোগ পাবে।

৩. ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডিপ্লোমা ইন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাক্রমের ২য় ও ৪র্থ পর্বের শিক্ষার্থীরা বোর্ড নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইনে বদলির আবেদন করতে পারবে।

৪. এইচএসসি (বিজ্ঞান)/ এইচএসসি (ভোকেশনাল)/আলিম (বিজ্ঞান) উত্তীর্ণ সরাসরি ৩য় ও ৪র্থ পর্বে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা বদলিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে না।

৫. কোনো অবস্থাতেই অকৃতকার্য বা রেফার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থী বদলির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। ১ম ও ৩য় পর্বের পর্ব সমাপনী পরীক্ষায় সকল বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।

৬. সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বদলি হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে ওই প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট টেকনোলজি থাকতে হবে।

৭. বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী বদলির ক্ষেত্রে ২ (দুই) প্রতিষ্ঠানের সম্মতিতে বর্তমানের প্রতিষ্ঠান হতে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিম্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে বোর্ডে আবেদন করতে হবে।

৮. পিতা-মাতা সরকারি কর্মচারি হলে তাদের বদলির জন্য বদলির কর্মস্থল বা নিকটবর্তী সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে তাদের সন্তান বদলিতে অগ্রাধিকার পাবে।

৯. বদলির জন্য অন্যান্য শর্ত পূরণ করলে ছাত্রীরা অগ্রাধিকার পাবে।

১০. প্রশাসনিক ও শৃংখলার কারণে অধ্যক্ষের সুপারিশের প্রেক্ষিতে শর্তাবলী শিথিল করে বদলি করা যাবে।

১১. পিতা/মাতার মারা গেলে শিক্ষার্থীর নিজ জেলার কাছের প্রতিষ্ঠানে বদলির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।

১২. বর্তমানে অধ্যয়নরত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বদলি হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত আবেদনপত্র যাচাই- বাছাই করে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনলাইনের মাধ্যমে বোর্ডে আবেদ করতে হবে।

১৩. সংশ্লিষ্ট ছাড়পত্র প্রদানকারী ও গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ (একশত) টাকা হারে ফি আদায় করতে পারবে।

১৪. Online-এ প্রাপ্ত আবেদন হতে মেধাক্রম অনুসারে শূন্য আসনের ভিত্তিতে বদলির জন্য মনোনয়ন দেওয়া হবে।

১৫. বোর্ড কর্তৃক বদলির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থী গ্রহণকারী (বদলিকৃত) প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বদলি ফি বাবদ ৩২৫/- (তিনশত পঁচিশ) টাকাসহ অন্যান্য ফিসমূহ প্রদানপূর্বক ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। যা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড-এর সচিবের কাছে ব্যাংক ড্রাফট করে এবং বদলিতে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নামের তালিকাসহ নির্ধারিত সময়ে বোর্ডে প্রেরণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের মোট বদলিকৃত শিক্ষার্থীর বদলির জন্য একটি মাত্র ব্যাংক ড্রাফট হবে এবং একবারই জমা দিতে হবে।

১৬. বোর্ড কর্তৃক বদলির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থী গ্রহণকারী (বদলিকৃত) প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভর্তি সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে অথবা গ্রহণকারী (বদলিকৃত) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বদলিকৃত প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীর বদলি ফি বাবদ প্রদেয় ব্যাংক ড্রাফট বোর্ডে জমা প্রদান না করলে বদলি মনোনয়ন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হবে।

১৭. বদলিকৃত শিক্ষার্থীর রেজিষ্ট্রেশন কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি, যে পর্বে বদলি হতে ইচ্ছুক তার পূর্ববর্তী পর্বের প্রবেশপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ও পূর্ববর্তী পর্ব/পর্বসমূহের নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন (বদলিকৃত প্রতিষ্ঠান) সেই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সংরক্ষণ করবেন।

১৮.এতে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

আপনাদের ক্যাম্পাসের তথ্য ও খবর প্রকাশ করতে মেইল করুন- newsdiploma@gmail.com

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button